কলেজছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট – ঝালকাঠির নলছিটিতে বেনজির জাহান মুক্তা নামে এক কলেজছাত্রীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বাড়ৈকরন গ্রামের বটতলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মুক্তা ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে। তিনি ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার সোহাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মুক্তার কথা হতো। সে-ই তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।

পুলিশ ও নিহত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বেনজির জাহান মুক্তা বাড়ি থেকে কলেজে যাচ্ছিল। পথে তার এক পরিচিত যুবক মুক্তার মোবাইল ফোনটি জোর করে নিয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তা কলেজ থেকে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর তার বাড়ির মোবাইলে ফোন করে ওই যুবক বটতলা নামক স্থানে ছিনিয়ে নেওয়া ফোনটি ফেরত নেওয়ার জন্য যেতে বলে। বড়বোন রিফাত জাহান ফোনটি রিসিভ করে মুক্তাকে এ কথা জানালে তিনি বটতলায় তার মোবাইলটি আনতে যান।

এর কিছুক্ষণ পর গলায় ওড়না পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির উঠানে এসে পড়ে যান মুক্তা। এ সময় স্বজনরা এগিয়ে এলে তার কণ্ঠনালি কাটা এবং দুই হাতে কোপের দাগ দেখতে পান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রীর বড়বোন রিফাত জাহান\হজানান, কলাপাড়ার সোহাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে মুক্তার প্রায়ই কথা হতো। আমার সঙ্গে ছেলেটির কয়েকবার কথা হয়েছে। সেই যুবকের সিম নম্বর থেকেই দুপুরে মোবাইল ফোনটি ফেরত নেওয়ার জন্য কল আসে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সোহাগের হাত রয়েছে।

নলছিটি থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহূত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হলেও সিমটি পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার পর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।